‘ব্লু হোয়েল গেম'
ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ: সময়সীমা ৫০ দিন৷ খেলার নির্দেশ অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীকে ৫০টি ‘টাস্ক' শেষ করতে হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে নিজেকে আঘাত করাসহ নানারকম ভয়ানক ‘টাস্ক'৷ শেষ টাস্কটি আত্মহত্যা৷ এখনও পর্যন্ত 360 জন এর শিকার৷
বেশ কয়েক বছর ধরেই রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অনলাইন গেম, বিশেষত অভিভাবকদের কাছে৷ তবে শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও৷ শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ধরনের গেম৷ অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, বাড়ছে দুর্ঘটনাও৷ এর সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা৷
২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয়
ঐ মারণ খেলা৷ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে
দু'বছর পরে৷ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল
তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল
ছেড়ে ডাঙায় ওঠে৷ যেন আত্মহত্যার জন্যই৷ সেই
থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল' বা নীল
তিমি৷
প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা৷ তারপর খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আকঁতে হয় সেই তিমির ছবি৷ একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়৷ চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে তা আমাদের ভুজতে হবে।